ঈদুল আজহার দিনেও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজায় অতর্কিত হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে এখন পর্যন্ত ৪২ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অনেকে। খবর আল জাজিরার।
গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শুক্রবার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিসে নিহত ১৬ জনের মৃতদেহ নগরীর আল নাসের হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দিনভর চলা এই হামলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস, উত্তর গাজার আল শিফা এলাকা, মধ্যাঞ্চলের গাজা সিটি ও দেইর আল বালাহ। নিহতদের মরদেহ পৌঁছেছে নাসের হাসপাতাল, আল শিফা হাসপাতাল, আল আহলি ব্যাপ্টিস্ট হাসপাতাল এবং আল আকসা শহর হাসপাতালসহ চারটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে।
তবে শুধু এই ৪২ জনই নয়, ধ্বংসস্তূপের নিচে আরও মরদেহ আটকে থাকার আশঙ্কা করা হচ্ছে। উদ্ধারকাজ এখনো চলছে।
গাজার দেইর আল বালাহ থেকে আলজাজিরার স্থানীয় প্রতিনিধি তারেক আবু আজুম বলেন, বিশ্বের মুসলিমরা যেখানে ঈদ উদযাপন করছে, সেখানে গাজার শিশুদের ঈদ শুরু হয় ধ্বংসস্তূপের কান্না দিয়ে। প্রতি ঈদেই আমরা এখানে শুধু শোক দেখতে পাই।
মর্মান্তিক এই হামলায় প্রাণ হারানো সাংবাদিকের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে গত দেড় বছরে গাজায় নিহত সাংবাদিকের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২৬ জনে, জানিয়েছে গাজার মিডিয়া অফিস।
১৯ মাসের বেশি সময় ধরে গাজায় হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ চলছে। এতে এখন পর্যন্ত গাজায় নিহতের সংখ্যা ৫২ হাজার ছাড়িয়েছে। আহত হয়েছে লক্ষাধিক। সেই সঙ্গে ঘর ছাড়া হয়েছে লাখ লাখ ফিলিস্তিনি।